ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আতঙ্কে ৪ লাখ মানুষ, মহেশখালীতে ভাঙা বাঁধ

মহেশখালী প্রতিনিধি :: মাতারবাড়ি-ধলঘাট ইউনিয়নে প্রাণ হারায় হাজারো মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রায় এক লাখ মানুষ বাড়িহারা হয়। এখনো ভাঙাচোরা বেড়িবাঁধ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে লাখো মানুষ।

ফলে এপ্রিল আসলেই আতঙ্কে কাটে এখানকার মানুষের দিন। মাতারবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট ও সাইট পাড়ার পশ্চিমে বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানির ধাক্কায় ধসে যাচ্ছে। আর যে অংশে রয়েছে তা যেকোন মুর্হুতে ধসে গিয়ে মাতারবাড়ি পানিতে ডুবে যেতে পারে। অরক্ষিত রয়েছে বেড়িবাঁধটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ারের পানি ঠেকানোর নামে বাঁধ নির্মাণ, মেরামত, সংস্কারের নামে নেয় হয় বিভিন্ন প্রকল্প। কিন্তু প্রকল্পের বেশির ভাগ বরাদ্দই নয়-ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃষ্টি হলে ভেঙে যায় বাঁধ। নেয়া হয় নতুন প্রকল্প।

মাতারবাড়িতে চলছে দেশের বৃহত্তর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ মেগা প্রকল্পের কাজ। তবে টেকসই বাঁধ নির্মাণে এখনো বড় উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চকরিয়া নিউজকে বলেন, স্থায়ী বাঁধ না থাকায় ১৯৯১ সালে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এখনো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের ৮৪টি সাইক্লোন শেল্টার (আশ্রয়কেন্দ্র) নির্মাণ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে ৪০টি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের বসবাস হলেও জনসংখ্যা অনুপাতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কম বলে জানান স্থানীয়রা।

মহেশখালীর ইউএনও মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কার করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পাঠকের মতামত: